ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে পরিবহন সমস্যা তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করছে। একদিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ পরিবহন সমস্যার কারণে গরিব ও সাধারণ পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্টানে সঠিক সময়ে প্রতিষ্টানে পৌছতে না পেরে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রয়েছে পরিবহণ সংকট। অনেকেই আবার জীবনের ঝুকি নিয়ে চলন্ত বাসে টেসা-টেসি করে পাল্লা দিয়ে কলেজ বাসে উঠার দৃশ্য চোঁখে পড়ার মত। যে কোন মহুর্তে মারাত্বক দূর্ঘটনার আসংখ্যা রয়েছে।
জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারী কলেজ ও সিটি কলেজসহ শহরে ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। সরকারী কলেজে বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়তের জন্য একটি বাস সাম্প্রতিক কলেজ কতৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে। এর পূর্বে বিএনপি জোট সরকারও একটি বাস শিক্ষার্থীদের যাতায়তের কথা মাথায় রেখে অনুদান দিয়েছিল। উক্ত বাস দুইটি শুধু মাত্র কক্সবাজারের পৌর শহরের অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা যাতায়তের যন্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে সুবিদা ভোগ করলেও জেলার বাকি সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত রয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার শহরে সরকারী পলিটেকনিকসহ ৩টি টেকনিকেল কলেজ ৩টি মাদ্রাসা ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে উখিয়ায় ২টি কলেজ ৩টি মাদ্রাসা টেকনাফে ২টি কলেজসহ অসংখ্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টানের যাতায়ত সুবিদার অভাবে প্রতিনিয়ত পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া রয়েছে জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কক্সবাজর ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ২০/২৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়ত করে থাকে।
কক্সবাজার সরকারী কলেজে ২য় বর্ষের ছাত্র সাগর দে জানান, প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার জন্য রাস্তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় গাড়ি না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। আর রিতিমত বাসের ড্রাইভার হেলপারদের নাজেহালের শিকার হতে হয়। কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রোমানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, টেসা-টেসি করে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় যাত্রী ও গাড়ির হেলপারদের কাছে ছাত্রীরা লাঞ্চিত হতে হয়। অনেকে আবার ঘুমের ভান করে ছাত্রীদের গায়ে স্পের্শও করে থাকে। আমি অনেকবার তার প্রতিবাদও করেছি। এই নিয়ে শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। টেকনাফ থেকে আগত উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজে শিক্ষার্থী জোসনা আক্তার জানান, প্রতিদিন যাতায়তের ভোগান্তির কারণে এক আতœীয়ের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতে হচ্ছে।
কক্সবাজারস্থ উখিয়া-টেকনাফ ছাত্রফোরামের আহবায়ক আব্দুল মাজেদ জানান, ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকবার বাধাবিপ্তির সম্মোখিন হতে হয়েছে। অনেক আন্দোলনের পর কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের শিক্ষার্থী যাতায়তের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপী দিয়ে ৮জন করে ছাত্র-ছাত্রী নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। কার্যত তা এখন বহল নেই বলে তিনি দাবি করেন। সাধারণ শিক্ষার্থী অভিবাবকেরা এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্টানে পাঠাতে চরম হতাশা ও আতংকে থাকতে হয়। তারা কতৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির সামাধান চেয়ে কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: